আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের আগেই ফাটল নবনির্মিত কালর্ভাটে : কাটমানি জের বলছে বিরোধীপক্ষ

17th December 2020 10:10 am বাঁকুড়া
আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের আগেই ফাটল নবনির্মিত কালর্ভাটে : কাটমানি জের বলছে বিরোধীপক্ষ


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  এলাকার মানুষের দীর্ঘ দিনের দাবি মেনে মাস আষ্টেক আগে তৈরী হয়েছে কালভার্ট। সেখানেও বিপত্তি। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের আগেই নবনির্মিত সেই সেই কালভার্টে ধরেছে ফাটল। বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের লয়ের গ্রামের ঘটনা।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বাঁকুড়া জেলা পরিষদের তরফে ৪৭ লক্ষ টাকা ব্যায়ে মাত্র আট মাস আগে স্থানীয় কানা নদীর উপর একটি কালভার্ট তৈরী হয়। আর এই কালভার্ট তৈরীর ফলে জনতা, মনারপুর, ঠাকুরপুর, জয়কৃষ্ণপুর সহ আট দশটি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের যাতায়াতের সুবিধা হয়। কিন্তু নির্মাণকাজ শেষের আট মাসের মধ্যে ঐ কালভার্টের একাংশের ফাটল দেখা দেওয়ার এলাকায় আতঙ্ক বাড়ছে। একই সঙ্গে নিম্নমানের নির্মাণকাজের অভিযোগ তুলছেন এলাকার মানুষ।

এলাকাবাসী হারাধন বাগদী, জটাধারী বাউলদের দাবি, কালভার্ট তৈরীর সময় কাজের গুণগতমান নিয়ে আমরা প্রশ্ন তুলেছিলাম। রড় ব্যবহার করা হয়নি বললেই চলে। কিন্তু আমরা সেই সময় প্রতিবাদ করলেও শোনা হয়নি। বরাদ্দকৃত ৪৭ লক্ষ টাকার সিংহভাগ টাকা কালভার্ট তৈরীতে খরচ হয়নি বলেই তাদের দাবি।

এখানেও 'কাটমানি' তত্ব হাজির করছে বিজেপি। দলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি হরকালী প্রতিহারের দাবি ৪৭ লক্ষ টাকা বরাদ্দের মাত্র কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করে বাকি টাকা শাসক দলের নেতারা আত্মসাৎ করেছে বলেও তিনি দাবি করেন।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।